আপনার সাইট র্যাংক করাতে হলে On page SEO ranking factors সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
খুঁজে নিন – অন পেজ এসইও কি এবং কেন এটি গুরত্বপূর্ন। অন পেজ এসইও নিশ্চিত করতে আপনাকে ১০ টি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
আজকের দিনে অরগানিক্যালি কেনা ওয়েবসাইট র্যাংক করাতে হলে আপনাকে একাধিক বিষয় সামনে নিয়ে অপটিমাইজ করতে হবে যা কিনা টেকনিক্যাল, অনপেজ এবং অফপেজ এসইও।
বছরের পর বছর ধরে আমার কেবল অফ পেজ এসইও যেমন লিংক তৈরির কাজকেই ফোকাস করে যাচ্ছি। কিন্তু, বাস্তবতা হলো আপনি যদি অন পেজ এসইও এর দিকে মনযোগী না হন তাহলে কেবল অফ পেজ এসইও তেমন ভাল ফল বয়ে আনতে পারবে না।
দক্ষ এসইও পেশাজীবিদের মতে অন পেজ এসইও ইস্যুটি অবশ্যই গুরত্বের সাথে নিশ্চিক করা আবশ্যক। কারন, আপনাকে মনে রাখতে হবে, সার্চ এলগরিদম ক্রমাগত রুপ পাল্টিয়ে যাচ্ছে। এর কৌশল দিন কে দিন আপডেট হচ্ছে। এজন্য অনপেজ এসইও ইস্যুকে কেন্দ্র করে আপনাকে আপডেট হতে হবে।
এই পোষ্টে, অনপেজ এসইও কি, কেন এটি গুরত্বপূর্ণ এবং ১০ টি সেরা অনপেজ এসইও ইস্যু যা র্যাংকিং এর জন্য প্রয়োজন – সে সব বিষয় নিয়ে এক এক করে আলোচনা করা হবে।
তবে, তার আগে এসইও কি এবং এসইও কিভাবে কাজ করে তা জেনে রাখা ভাল।
Table of Contents
10 টি On page SEO factors যা খুবই গুরত্বপূর্ণ।
On-page SEO কাকে বলে?
On-page SEO এর অপর নাম on-site SEO. এর দ্বারা ওয়েবপেজ কনটেন্ট -কে সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজারের নিকট অপটিমাইজ করা বুঝায়।
আমরা জানি এক একটি ওয়েবসাইট অনেকগুলো ওয়েবপেজ এর সমন্বয়ে গঠিত। ওয়েবপেজ হচ্ছে কোন ওয়েবসাইটের একক কোন পেজ এর নাম। যেমন, আপনি আপনার ব্লগে যদি নতুন কোন পোষ্ট দিলে ঐ পোষ্ট কনটেন্ট হয়ে যাবে আপনার ওয়েবসাইটের নতুন একটি পেজ।
আবার যদি, আপনার ই-কমার্স সাইটে নতুন একটি প্রোডাক্ট পোষ্ট করেন বা আপলোড করেন, যাই বলা হোক না কেন, নতুন ঐ প্রোডাক্ট পেজটিও হয়ে যাবে আপনার সাইটের নতুন আর একটি ওয়েবপেজ।
এছাড়াও, আপনার ওয়েবসাইটের নতুন একটি পেজ তৈরি করলে, সেটিও হয়ে যাবে নতুন এক ওয়েবপেজ।
On-page SEO এর মুল বিষয়টি হচ্ছে, যখনই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নতুন কোন কনটেন্ট যোগ করে একটি ওয়েবপেজ তৈরি করা হবে, তখন ঐ কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। যার ফলে নতুন ওয়েবপেজটি সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব হতে পারে এবং ইউজারও সেক্ষেত্রে অধিক উপকৃত হতে পারে।
সার্বিকভাবে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করাকে Search Engine Optimization বা SEO বলা হয়।তবে, ওয়েবসাইটের ভিতরগত সকল পেজগুলোকে যেভাবে অপটিমাইজ করা হয় তাকে On-page SEO. আর SEO এর যে কাজটি সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের বাইরে করা হয় তার নাম হল Off-page SEO যা কিনা মুলত backlink তৈরির নামান্তর।
On-page SEO কেন গুরত্বপূর্ণ?
আজ ২০২১ সালেও কি অন পেজ এসইও ঠিক আগের মত কাজ করে নাকি কোন পার্থক্য তৈরি হয়েছে?
এর উত্তরে বলতে হবে, ঠিক আগের মত নয়। প্রযুক্তিগত কলা কৌশলে বেশ পরিবর্তন।
বাস্তবিক অর্থে, সার্চ ইঞ্জিনের অনুসন্ধান কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হয় সে বিষয়ে দেখি গুগলে প্রতিবেদন কি বলে-
কথাটির অনুবাদ –
ওয়েবপেজ এর প্রদত্ত কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক হওয়ার বিষয়ে সার্চ ইঞ্জিন সবচেয়ে কমন যে সিগনালটি বিবেচনায় নেয় তা হলো –যে কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করা হয়েছে কনটেন্টের ভিতর যদি সেই একই কিওয়ার্ড বিদ্যমান থাকে। ঐ একই কিওয়ার্ড যদি পেজটিতে পাওয়া যায় বা টেক্সট এর হেডিং এ দেওয়া থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে search query –তে ব্যবহৃত কিওয়ার্ড এর সাপেক্ষে এই কনটেন্ড অধিক প্রাসঙ্গিক হবে।
যদিও গুগল আগের চেয়ে দিন দিন অনেক বেশী স্মার্ট হচ্ছে, তথাপি তারা তাদের পূর্ব থেকে ব্যবহার হয়ে আসা এই কৌশলটি এখনোও ব্যবহার করছে। তা হলো, কোন ওয়েবপেজ এর একটি সুনির্দিষ্ট কিওয়ার্ড তালাশ করা।
গুগলের সার্চ ইঞ্জিন স্পাইডার এখন পর্যন্ত কিওয়ার্ডের জন্যও আপনার সাইট ক্রাউল করে।
১১ মিলিয়ন গুগল সার্চ রেজাল্ট এর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের একটি প্রতিবেদনে গুগলের প্র্রথম পেজ – এ র্যাংকিং এর সাথে কনটেন্ট এর টাইটেল ট্যাগ এ কিওয়ার্ড বসিয়ে দেওয়ার মাঝে কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু তীব্র প্রতিযোগীতা সম্পন্ন কোন কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এর চিত্র কিছুটা ভিন্ন। যেমন, আপনি যদি pet insurance দিয়ে গুগলে সার্চ করেন তাহলে প্রথম পেজ এর সব ক’টি ফলাফলের পেজ টাইটেল – এ pet insurance নামের কিওয়ার্ডের উপস্থিতি লক্ষ করা যাবে।
চিত্র:
যাহোক, উপরের আলোচনা থেকে ধারণা পাওয়া গেল – অন পেজ এসইও কেন গুরত্বপূর্ণ।
সার্বিক দৃষ্টিকোন থেকে অন পেজ এসইও কেন গুরত্ব বলতে গেলে – এই কাজের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কনটেন্ট সম্পর্কে সহজে ধারণা পেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয় – যে কনটেন্ট রেজাল্ট পেজ –এ প্রদর্শন করা হবে তা সার্চ কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কযুক্ত কিনা।
সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদম যেহেতু দিন দিন খুব স্মার্ট হচ্ছে, তাই ইহা সার্চ রেজাল্ট পেজ এ কনটেন্টের রিলেভেন্সির দিকে খুব নজর দেয়।
বিশেষ করে গুগল এলগরিদম এখন খুব চালাক ও বুদ্ধিমান। গুগল নিচের বিষয় দু’টি খুব ভাল বুঝে-
- যখন ইউযার তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সার্চ বক্সে কোন শব্দ লিখে – গুগল তখন বুঝতে পারে ইউজার আসলে কোন বিষয়ে তথ্য পেতে চায়। এখানে searcher’s intent কি?
- তারপর ঐসব রেজাল্ট বা ফলাফল সামনে এনে দেয় যেগুলো অনুসন্ধানকারির আকাংখার সাথে মিলে যায়। Search intent হতে পারে – তথ্যমুলক, কেনাকাটার বিষয় বা নেভিগেশনাল কিনা।
এর বাইরেও, অন পেজ এসইও বাদ দেওয়া সুযোগ নেই। কারণ এখানে আপনি অফ পেজ এর তুলনায় ওয়েবসাইটের বিভিন্ন অন সাইট ইলিমেন্টর এর উপর অধিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
আপনি অন পেজ এসইও কাজ খুব সুন্দররুপে করতে পারলে, দেখতে পাবেন আপনার সাইটে ভিজিটরের প্রবাহ দ্রুত বাড়তে থাকবে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন, অন পেজ এসইও কাজের সাথে জড়িত ১০ টি বিষয় কি কি এবং সেই বিষয়গুলো কিভাবে নিশ্চিত করতে হয়।
On page SEO factors
E-A-T
Title Tag
এটি হলো এক প্রকারের html ট্যাগ যা প্রতিটি ওয়েবপেজ এর html ডকুমেন্ট এর head সেকশন এর মাঝে থাকে। যা ওয়েবপেজটি কোন বিষয়ের উপর তৈরি সে সম্পর্কে একটি ত্বরিত ধারণা প্রদান করে।
সুনির্দিষ্ট search query দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধানের সময় এই টাইটেল ট্যাগটি সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ – এর প্রতিটি ফলাফলের সবার উপরের অংশে clickable হিসাবে প্রকাশিত হয়।
অরগানিক র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এই টাইটেল ট্যাগের প্রভাব তেমন একটা থাকে না বা থাকলেও খুব কম। এজন্য এটিকে মাঝে মাঝে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।
তবে, টাইটেল ট্যাগ ব্যবহার না করলে বা সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হলে – এটি আবার র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। এমনকি, সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ থেকে আপনার সাইটে প্রবেশের click through rate কম হতে পারে।
এজন্য অনপেজ এসইও এর উত্তম চর্চার অংশ হিসাবে, আপনাকে এই কাজটি সূচারু রুপে সম্পন্ন করতে হবে।
Meta Description
SEO এর শুরুর লগ্ন থেকেই মেটা ডেস্ক্রিপশন এসইও কাজের জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। HTML ডকুমেন্টের হেড সেকশনের আওতায় মেটা ট্যাগের অভ্যন্তরে যে কথাগুলো সন্নিবেশিত থাকে তাই হলো মেটা ডেস্ক্রিপশন।
Meta Description মাধ্যমে ওয়েবপেজটি কোন বিষয়ের উপর রচিত তার কিছু সংক্ষিপ্ত ধারণা পাওয়া যায়।
সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ –এ মেটা ডেস্ক্রিপশন টাইটেল ট্যাগের নিচে থাকে যা ঐ ওয়েবপেজ সম্পর্কে দু’ লাইনের মধ্যে কিছু তথ্য প্রদান করে।
গুগল র্যাংকিং এর জন্য যদিও অন পেজ এসইও এর এই অংশটির কার্যত কোন ভূমিকা নাই, তথাপি এসইও বিষয়ে এর গুরত্বের কথা বলতে শুনা যায়।
অনপেজ এসইও কাজে মেটা ডেস্ক্রিপশন অপটিমাইজের কয়েকটি সুবিধা-
- Click- through rate বৃদ্ধি করে
- ওয়েবপেজ সম্পর্কে ভাল ধারণা জন্মাতে সাহায্য করে
- ওয়েবপেজটি কো বিষয়ের উপর রচিত তা প্রকাশ করে
Headlines
আপনি আপনার ওয়েবসাইট কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করাতে চান? এজন্য প্রয়োজন খুব সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি হেডলাইন।
যদিও কনটেন্টের টাইটেল আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারণ মনে হয় কিন্তু সার্চ রেজাল্ট পেজ থেকে click through rate (CTC) বাড়াতে রয়েছে এর অসাধারণ প্রভাব। আপনি যদি impression এবং CTC সম্পর্কে জেনে থাকেন, তাহলে খুব সহজে এটি বুঝতে পারবেন যে কৌশলগত ভাবে এর গুরত্ব কতটুকু।
Header Tags
এই ট্যাগ হলো html element যা h1 থেকে শুরু হয়ে h6 পর্যন্ত হতে পারে। এই ট্যাগগুলো কনটেন্ট এর হেডিং এবং সাব হেডিং প্রদানে ব্যবহৃত হয়। হেডিং মুলত কোন টেক্সট কনটেন্টের প্যারাগ্রাফ এর শুরুতে ব্যবহৃত হয়।
অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে হেডিং ট্যাগের গুরত্ব লক্ষ করা যায় যা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার কনটেন্ট র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে কাজে দেয়।
র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে হেডিং ট্যাগের প্রভাব নিম্নরুপ –
- আপনার কনটেন্ট ভিজিটরের নিকট সহজ ও উপভোগ্য করে তৈরি করে।
- সার্চ ইঞ্জিনের নিকট কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ কনটেন্ট হিসাবে দেখায়।
SEO writing
এর অর্থ হলো, আপনি সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজার কথা মাথায় নিয়ে কনটেন্ট রচনা করবেন। এসইও বান্ধব কনটেন্ট লেখার কিছু কৌশল থাকে যা কেবল কিওয়ার্ড রিসার্স এবং শূণ্য স্থান পূরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি মানুষের জন্য লিখছেন। মানুষ যাতে তার কাংখিত তথ্য আপনার কনটেন্ট সহজে পেতে পারে যা নির্ভরযোগ্য হয়। এজন্য আপনার কনটেন্ট হতে হবে উচ্চ মানের, গঠনমুলক এবং প্রাসঙ্গিক।
Keyword Cannibalization
বিষয়টি কি এমন যে, আপনি সুনির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড টার্গেট করে যত পেজ –এ কনটেন্ট লিখবেন তত ভাল?
যদি এমনটি মনে করে থাকেন তাহলে ভুল করছেন।
একই কিওয়ার্ড যদি একাধিক পেজ এ প্রয়োগ করেন তাহলে আপনি cannibalization এর স্বীকার হবেন। যার পরিণতি আপনার সাইটের জন্য মোটেও ভাল কিছু বয়ে আনবেনা।
এর দ্বারা আপনি নিজেই নিজের সাথে প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়ে গেলেন। এজন্য, আপনাকে খুঁজে দেখতে হবে – আপনার সাইটে এই জাতীয় কোন ইস্যু রয়েছে কিনা। যদি থাকে তাহলে খুব দ্রুত ঠিক করে নিন।
Content Audit
অধিকাংশ ব্লগার বা ওয়েবসাইট মালিকগন শুধু নতুন নতুন কনটেন্ট নিয়মিত পোষ্ট করা নিয়েই ব্যাস্ত থাকে। তারা বিদ্যমান কনটেন্ট এর ব্যাপারটি একেবারেই উদাসিন থাকে। সেগুলো যে সময়ে সময়ে অডিট করতে হয় তা ভুলে যায় বা মনে হলেও তার গুরত্ব থাকে না।
আপনার বেলাতেও এমন হলে মনে রাখতে হবে, আপনি বেশ বড় একটি ভুলের মধ্যে আছেন। এটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার র্যাংকিং ধরে রাখার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ কাজ।
নিম্নলিখিত কারণে অডিটিং এর খুব প্রয়োজন-
- আপনার বিদ্যমান কনটেন্ট তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে কিনা বা এর ROI অর্জনে সমর্থ হয়েছে কিনা।
- খুঁজে দেখুন আপনার আগের কনটেন্টগুলো বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সঠিক কিনা, নাকি outdated.
- নির্নয় করুন কোন ধরণের কনটেন্ট আপনার জন্য ভাল কাজ করে।
আপনার SEO strategy বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কনটেন্ট অডিট করা খুব গুরত্বপূর্ণ যা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে করতে হবে।
Image Optimization
আপনার লেখা আর্টিকেল এর সাথে ইমেজ যোগ করলে তা ইউজারের নিকট খুব সুন্দর দেখায়। কিন্তু এর জন্য সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।
কারণ, ইমেজ ফরমেট ও সাইজ সঠিক না হলে তা আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড কমিয়ে দিতে পারে।
এজন্য, এসইও সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে আপনাকে কনটেন্ট অপটিমাইজেশনের সাথে সাথে ইমেজ অপটিমাইজ করা শিখতে হবে।
ইমেজ অপটিমাইজেশনের নিম্নলিখিত সুবিধাদি রয়েছে-
- সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং এর জন্য অতিরিক্ত গুরত্ব রাখে।
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভাল হয়।
- পেজ লোড দ্রুত হয়।
তবে, ইমেজটি যেন আপনার কনটেন্ট এর সাথে প্রাসঙ্গিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য, ইমেজ এর জেপিজি ফরমেট ব্যবহার করুন এবং alt tag এর জায়গায় কনটেন্ট এর ফোকাস কিওয়ার্ড সর্বদা ব্যবহার করুন।
User Engagement
এ যাবত যা কিছু বলা হলো, তা অন পেজ এসইও ইলিমেন্ট এর মাত্র অর্ধেক। বাকি অর্ধেক তাহলে কোথায়?
এর উত্তর – ইউজার আপনার সাইটে প্রবেশ করে বাউন্স করে ফিরে যায় নাকি এনগেজ হয়, তার মধ্যে অন পেজ এসইও এর বাকি অর্ধেক নিহীত।
উপসংহার
যদি আপনি আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করাতে চান তাহলে অনপেজ এসইও এর কাজ গুরত্বের সাথে করতে হবে। এটিকে বাদ দিলে হবে না।
আপনার সাইটের অন সাইট র্যাংকিং ফ্যাক্টরসমুহ নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে, সবকিছু ঠিক আছে কিনা। এর ফলে, আপনার সাইটের র্যাং কিং, ট্রাফিক এবং কনভার্শন বাড়তে থাকবে।