সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ পোষ্ট র‌্যাংকিং: কিভাবে করাবেন?

একটি ব্লগ পোষ্ট শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লেখা কত পরিশ্রমের ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যারা ব্লগিং এর সাথে জড়িত তারা খুব ভালোভাবে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে।

যেমন, লেখার টপিকস বা বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা, সেই নির্ধারিত বিষয়ের উপর প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা তার পর গুছিয়ে তথ্য গুলো ব্লগ পোষ্টের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা। কাজটি মোটেও সহজ নয়। পরিশ্রম এবং ধৈর্য্যের।

এখন বলুন, এত কষ্ট করে খুব সুন্দর তথ্য বহুল একটি আর্টিকেল লিখে ব্লগে পোষ্ট করার পর যদি তা অডিয়েন্সের নজরে না আসে – তখন কেমন লাগবে?

নিশ্চয়ই, তা আরোও কষ্টের। কারণ, যাকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলো তার পর্যন্ত পৌঁছানো গেলোনা।

আপনিও যদি, এমন কোন কষ্টের অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকে এবং সেই কষ্টকে লাঘব করতে চান, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় রয়েছেন।

আলোচ্য পোষ্টে সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ পোষ্ট কিভাবে র‌্যাংক করানো যায় আমি সে বিষয়টি নিয়েই কথা বলব।

সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ পোষ্ট র‌্যাংকিং: কিভাবে?

সৌভাগ্যক্রমে আপনার ব্লগ পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানো সম্ভব যদি আপনি যথাযথ ভাবে তার সার্চ ইঞ্জন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন।

একজন, ব্লগার হিসাবে প্রত্যেকেরই মনে চাহিদা থাকে তার লেখা কনটেন্ট যেন সার্চ ইঞ্জিনে একটি ভালো অবস্থান পেতে পারে। এসইও আপনার কনটেন্ট সে পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার একটি সেতু বন্ধন হিসাবে ভূমিকা পালন করবে।

এখন প্রশ্ন হলো, এই এসইও আপনার কনটেন্ট এর মাঝে কিভাবে প্রয়োগ করবেন?

চিন্তার কারণ নেই, আজকের আলোচনায় সে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

এই পোষ্টে এসইও নিয়ম-নীতির আলোকে কনটেন্ট বা ব্লগ পোষ্ট লেখার বেশ কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ উপায় নিয়ে কথা বলব।

তার আগে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য আমাদের জানা প্রয়োজন।

এসইও রাইটিং বলতে কি বুঝায়?

এসইও রাইটিং বলতে বুঝায় এসইও নিয়ম মেনে লেখার পদ্ধতি যা অনুসরণ করলে আপনার কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিন তথা গুগলের প্রথম পেজ এ স্থান পাওয়া সম্ভব।

এই পদ্ধতির মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়সমুহ অন্তর্ভুক্ত-

  • কিওয়ার্ড নিয়ে গবেষণা
  • উঁচু মানের কনটেন্ট রচনা করা যা পড়লে পাঠকগনের পিপাসা নিবৃত্ত হয়।
  • তারপর কনটেন্ট এর হেডারসহ অন্যান্য উপাদানসমূহে কিওয়ার্ড অপটিমাইজ করা

সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল কর্তৃক ২০২০ সালে পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজ এর প্রথম অবস্থানে স্থান পাওয়া একটি ওয়েবসাইটের ক্লিক করার হার বা click through rate ২৫%।

যেখানে দ্বিতীয় অবস্থানে স্থান পাওয়া ওয়েবসাইটের ক্লিক করার হার কমে গিয়ে দাড়ায় ১৫%। আর সার্চ রেজাল্ট পেজ এর ১০ম অবস্থানে স্থান পাওয়া ওয়েবসাইটের ক্লিক করার হার মাত্র ২.৫%।

আর সার্চ রেজাল্টের দ্বিতীয় পেজ এ গেলে তা আরও কমে যায় যা উল্লেখ করার মত নয়।

এর অর্থ এই দাড়ায়, আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগলের প্রথম পেজ এ স্থান না পায় তাহলে অরগানিক ভাবে আপনার সাইটে ভিজিটরের প্রবেশ করার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হয়ে যায়।

ভিজিট কম হলে কনভার্শন কম হবে এবং পয়সা উপার্জনের সম্ভাবনাও কমে যাবে।

সাইটে ভিজিটর আনার দ্বিতীয় উপায় হতে পারে পেইড এডভারটাইজমেন্ট। কিন্তু এর সাথে অর্থ বিনিয়োগের বিষয় জড়িত। ৎ

কাজেই, আপনার যদি বিজ্ঞাপন খরচ উঠানোর মত পর্যায় না থাকে এবং বিজ্ঞাপন খাতে অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ কম থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে অরগানিক ট্রাফিকের দিকেই মনযোগ দিতে হবে।

কারণ, অরগানিক ট্রাফিক আনতে পয়সা খরচ হয়না। শুধু সময় বিনিয়োগ করে এসইও কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করতে হয়। যাতে আপনার ওয়েব কনটেন্ট গুগলের প্রথম পেজ এর প্রথম দিকে অবস্থান পায়।

তাই, আপনার কনটেন্ট এর এসইও কাজ কিভাবে করবেন তার উপর আমি নিচে কয়েকটি টিপস এর কথা বলছি যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন।

কনটেন্ট এর মাঝে হেডিং ব্যবহার করুন

আপনার ব্লগ পোষ্টের কনটেন্ট এ হেডিং থাকলে পোষ্টের বিষয়বস্তু ও ধরণ গুগল ওয়েব ক্রাউলার এর পক্ষে সহজে বোধগম্য হবে।

গুগল ক্রাউলারকে একজন পাঠক হিসাবে বিবেচনা করুন যে কিনা আপনার ব্লগ প্রতিনিয়ত স্কিমিং করে যাচ্ছে। স্কিমিং এর পর ক্রাউলার আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু নির্ধারণের চেষ্টা করে।

এখন, আপনার কনটেন্ট এ যদি বিভিন্ন হেডার ব্যবহার করেন যেমন H1, H2, H3 ইত্যাদি তাহলে গুগল ক্রাউলার এই হেডারগুলো থেকে কনটেন্ট এর টপিক বা বিষয়বস্তু নির্ধারণের সংকেত পেয়ে যায়।

তখন, ইউজার আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন কিওয়ার্ড গুগলে বসিয়ে সার্চ দিলে গুগল তখন আপনার কনটেন্ট কে তার রেজাল্ট পেজ স্থান দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।

এজন্য, আপনার প্রত্যেকটি হেডিং এর ভিতর টপিকস এর কিওয়ার্ডের উপস্থিতিও নিশ্চিত করতে হবে এবং কনটেন্ট যেন হেডিং অনুযায়ি  লেখা হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।

Featured snippets এর জন্য কনটেন্ট অপটিমাইজ করুন

সার্চ ইঞ্জিনে যে কথা বা প্রশ্ন লেখে সার্চ করা হয় তার সরাসরি উত্তর featured snippets থেকে পাওয়া যায়।

যেমন, কেউ যদি “how to write a blog post” লিখে গুগলে সার্চ করে, গুগল তখন featured snippets এর মাধ্যমে সেরা উত্তর দেখাতে পারে। নিচে চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হলো-

Featured Snippets

গুগল থেকে featured snippet অর্জন করতে হলে প্রশ্নের উত্তর যথাযথ ভাবে দিতে হবে।

উদাহারণ স্বরুপ, সার্চ টার্মটি যদি “how to write an article” হয়, তাহলে H1 বা H2 এর মধ্যে এই প্রশ্নটি রাখতে হবে। তারপর, প্রশ্নটির উত্তর ধারাবাহিক ও যথাযথভাবে লিখতে হবে।

এরপর, কনটেন্ট লেখার শুরুতে প্রশ্নটির একটি প্যারাফ্রেজ লিখে তারপর ধারাবাহিকভাবে উত্তর লিখা শুরু করবেন।

যেমন, “to write an article , here are the steps”.

এতদসত্ত্বেও, ধারাবাহিক ভাবে উত্তর লেখার সময় প্রতিটি ধাপে আদেশ মুলক ক্রিয়া পদ ব্যবহার করুন।

যে কিওয়ার্ডের বিপরিতে আপনি featured snippets আশা করছেন তা যদি কোন কিছুর সঙ্গা হয়, তাহলে উত্তর যাতে ৫৮ শব্দের বেশী না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

মানুষের জন্য লিখুন, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য নয়

মনে রাখতে হবে, যখন কেউ গুগলে সার্চ করে তার অর্থই হলো সে তার কাংখিত বিষয়ের উপর ভাল একটি উত্তর আশা করছে। এজন্য, আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কনটেন্ট তৈরির কথা মাথায় রাখতে হবে যদি সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করাতে চান। সার্চার ইনটেন্ট বলে একটি কথা আছে।

ধরে নেই, কোন একটি কিওয়ার্ডের বিপরিতে আপনার কনটেন্ট গুগলে র‌্যাংক হলো। এখন, ইউজার যে বিষয়টি জানার জন্য সার্চ করল আপনার ওয়েবসইটের কনটেন্ট তা দিতে পারল কিনা।

যদি আপনার ওয়েব কনটেন্ট পড়ে ইউজার সন্তুষ্ট হয় তাহলে এর একটি পজিটিভ সিগনাল সার্চ ইঞ্জিনও পায়। ইউজার সন্তুষ্ট হলো কিনা সার্চ ইঞ্জিনের জন্য তা বুঝার উপায়, সে আপনার ওয়েবসাইটে কতক্ষণ সময় অবস্থান করেছিল।

মেটা ডেস্ক্রিপশনে কিওয়ার্ড বসানো

আপনি আপনার পোষ্টগুলোতে মেটা ডিস্ক্রিপশ লিখেন? যদি না লিখে থাকেন তাহলে আপনার পোষ্ট এর এক্সপোজার কমিয়ে দিচ্ছেন। চলুন দেখা যাক কেন সেটির ব্যবহার গুরত্বপূর্ণ।

এতক্ষণে আমরা গুগলের সাথে  আপনার ব্লগ পোষ্ট এর যোগযোগের কয়েকটি পদ্ধতি আলোচনা করেছি যেমন সাবহেডার, কিওয়ার্ডস এবং স্নিপেটস।

মেটাডেস্ক্রিপশন হচ্ছে আর একটি ক্ষেত্র যার উপর ভিত্তি করে গুগলের ক্রাউলার সার্চ র‌্যাংকিং এর বিষয়টি নির্ধারণের সুযোগ পায়। এটি হচ্ছে এক থেকে তিন বাক্যের একটি বিবরণ যা নিচের চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো।

meta description

আপনার পোষ্টটি কোন বিষয়ের উপর তা নিচের নিয়মে মেটা ডেস্ক্রিপশন অঞ্চলে লিখে নিন –

  • যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখুন
  • এখানে একটি বা দু’টি কিওয়ার্ড বসান
  • মেটা ডেস্ক্রিপশন এর ভাষা খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে লিখুন যাতে অন্যান্য পোষ্ট থেকে একটু ব্যতিক্রমি হয়।
  • আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে একটি প্লাগইন এর সাহায্য নিন যা আপনার কাজিটিকে অনেক সহজ করে দিবে।

ইমেজে alt text ব্যবহার করুন

Alt text মানে হলো অলটারনেটিভ টেক্সট বা বিকল্প টেক্সট যার কাজ ওয়েব পেজ এর ইমেজকে কথার ভাষায় পরিচয় করিয়ে দেওয়া। এটি html কোডের ভিতর থাকে এবং ইহা পেজ এর মধ্যে দৃশ্যমান থাকে না।

কিন্তু তারপরও বিষয়টি এসইও কাজে এতটা গুরত্বপূর্ণ কেন? চলুন সে কথাই বলি।

সারা দুনিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষ এমন আছে যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধি। তাদের অনেকেই অনলাইন কনটেন্ট বুঝার জন্য স্ক্রীণ রিডার ব্যবহার করেন। যা স্ক্রীনের উপর ইমেজ, ভিডিও সহ অন্যান্য কনটেন্ট পরিবর্তন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মানুষের নিকট বোধগম্য করে উপস্থাপনের কাজ করে।

কিন্তু ওয়েব পেজ এর কোন ইমেজে যদি অল্ট টেক্সট না থাকে তাহলে স্ক্রীণ রিডার সে কাজটি করতে পারে না। কারণ, স্ক্রীণ রিডার টেক্সট পড়তে পারে কিন্তু টেক্সট ছাড়া শুধু ইমেজ পড়তে পারে না।

এছাড়া, গুগলের পক্ষেও টপিকস এর প্রাসঙ্গিকতা বুঝার জন্য ইমেজে অল্ট টেক্সট ব্যবহার করতে হয়।

আর, গুগল ইমেজ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন। গুগল ইমেজে স্থান পতে হলেও আপনার ওয়েব পেজ এর ব্যবহৃত ইমেজ এ অল্ট টেক্সট দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, গুগল ইমেজে র‌্যাংক হলে সেখান থেকেও আপনি ট্রাফিক পেতে পারেন।

পরিশেষে, আপনার অনপেজ এসইও স্কোর বাড়ানোর জন্য হলেও ব্যবহৃত ইমেজ এ অল্ট টেক্সট দিতে হবে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন

গুগল প্রতি সেকেন্ডে ৭০০০০ এর চেয়েও বেশী সার্চ জিজ্ঞাসার জবাব দেয় বলে প্রাক্কলিত। শুনে অবাক হচ্ছেন?

আপনি যদি এর থেকে সামান্য হলেও কিছু অংশ পেতে চান, তাহলে আপনাকে সুনির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড টারগেট করতে হবে যা লিখে আপনার সম্ভাব্য কাস্টোমার বা অডিয়েন্স সার্চ করছে। তারপর, ঐ টারগেট করা কিওয়ার্ডের উপরই আপনার কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।

অন্যথায়, অডিয়েন্স কিভাবে আপনাকে খুঁজে পাবে?

কথা এখানেই শেষ নয়, আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আরোও সতর্কতার সাথে কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। নয়ত, তা গুগলের প্রথম কয়েক পেজ এ স্থান নাও পেতে পারে।

আর আপনার কনটেন্ট যদি গুগলে সার্চ রেজাল্টের প্রথম বা দ্বিতীয় পেজ এ স্থান না পায় তাহলে তা অডিয়েন্সের অগচোরেই থেকে যাবে।

এর জন্য, আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্স শিখতে হবে।

আলোচনা যাতে দীর্ঘ না হয়, সেজন্য এখানে এতটুকু বলছি, আপনার টপিকস এর উপর আপনাকে ঐসব কিওয়ার্ড টারগেট করতে হবে যার প্রতিযোগিতা কম।

কনটেন্ট এ কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম

কনটেন্ট তৈরি হয়ে গেলে পোষ্ট এডিটরে সঠিকভাবে কিওয়ার্ড বসানো খুব গুরত্বপূর্ণ একটি কাজ যা অন-পেজ এসইও এর অংশ। এই কাজটি আপনাকে খুব সতর্কতার সাথে করতে হবে।

অজ্ঞতাবশত: কিওয়ার্ডের সংখ্যা বেশী হলে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং ভাল হবে, এমন মনে করে অনেকেই কনটেন্ট এর ভিতর যত্র তত্র টারগেট কিওয়ার্ড বসানোর চর্চা করত।

কিন্তু, বাস্তবতা এর উল্টো। যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানেই কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। অন্যথায়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলে keyword stuffing হবে যা সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে স্প্যামিং এর খারাপ বার্তা প্রদান করবে।

মনে রাখতে হবে, মুল কনটেন্ট এ কিওয়ার্ডের সংখ্য যাতে ২% এর বেশি না হয় এবং এমনভাবে কিওয়ার্ড বসাতে হবে যাতে তা ন্যাচারাল মনে হয়। কিওয়ার্ড বসাতে হয় এজন্য বসানো – ব্যাপারটি এমন নয়। কিওয়ার্ড বসানো বাক্যটি যেন ন্যাচারাল দেখায়, বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

এজন্য, কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত ওয়েব পেজ এর বিভিন্ন অংশে যেমন, টাইটেল, ইউআরএল, হেডার বা সাবহেডার, কনটেন্ট এর বডি তে ইত্যাদি জায়গায় নিয়ম অনুসারে কিওয়ার্ড বসানো শিখতে হবে।

হাই অথারিটি ওয়েবসাইটে লিংক দেয়া

ব্লগ পোষ্ট লেখার পর পাবলিশ করার আগে অন্য ওয়েবসাইটের এক্সটারনাল লিংক প্রয়োগে ভয়ের কিছু নেই। বরং এক্ষেত্রে লাভের বিষয় জড়িত।

আপনার কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত কোন বিখ্যাত ওয়েবসাইটের প্রাসঙ্গিক জায়গায় এক্সটরনাল লিংক দিলে দু’টো লাভ হবে-

  • আপনার পাঠকবৃন্দ ভাল একটি সোর্সের সন্ধান পাবে যেখান থেকে তাদের জানার পরিধি আরোও বেড়ে যাবে।
  • আপনি বিভিন্ন নামি-দামি ওয়েবসাইটে গবেষণা করে নিজের কনটেন্ট রচনা করেছেন। গুগল বিষয়টি এভাবে দেখবে।

অথারিটি ওয়েবসাইট থেকে গবেষণা লব্ধ তথ্য নিজের পোষ্টে উল্লেখ করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার কনটেন্টের মান অনেক বেড়ে যাবে।

  • এছাড়াও নিচের কাজগুলো করুন-
  • দীর্ঘ পোষ্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন
  • নিজের সাইটের অন্যান্য পোষ্টের সাথে লিংক দিন
  • পোষ্টের ইমেজ কমপ্রেস করুন
  • লিংক বিল্ডিং স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করুন

Leave a Comment