ব্যাকলিংক কি – চলুন জেনে নেই বিস্তারিত!

ব্যাকলিংক কি প্রশ্নটি সাধারণ মানুষের কাছে কিছুটা ব্যতিক্রমি মনে হতে পারে। তবে, আপনার যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষ করে এসইও জগতে ক্ষেত্রে কাজ করার আগ্রহ থেকে থাকে তাহলে এটি আপনার জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ একটি ইস্যু হতে পারে।

এসইও এর প্রকারভেদ এর মধ্যে অফ পেজ এসইও কাজে যে জিনিসটি অপরিহার্য তা হচ্ছে এই ব্যাকলিংক। অর্থাৎ আপনার সাইট যদি গুগলে অরগানিক পদ্ধতিতে র‌্যাংক করাতে চান তখন যত অধিক সংখ্যায় ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক হওয়ার  তত বেশী সম্ভাবনা তৈরি হবে।

আর, যখন গুগলের সার্চ রেজাল্ট পেজ এর প্রথম পৃষ্ঠায় র‌্যাংক হয়ে যাবে, তখন অধিক সংখ্যায় ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করবে। এত করে, যে উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন, তা সফল হবে।

তবে, এসইও কাজের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ হচ্ছে মান সম্পন্ন ব্যাকলিংক তৈরি করা যার সম্পর্কে অনেকেরই পরিস্কার ধারণার অভাব পরিলক্ষীত হয়। এজন্য, এটি করতে গিয়ে অনেক দক্ষ এসইও বিষারদ হিমশিম খেয়ে যায়।

তাই, আজকের পোষ্টটিতে ব্যাকলিংক কি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। যাতে, এর ধারণা পাঠকের নিকট স্বচ্ছ হয়ে যায়।

তো, চলুন মুল আলোচনা শুরু করি।

এসইও ব্যাকলিংক কি?

ব্যাকলিং হচ্ছে কোন ওয়বসাইটের ভিতর একটি হাইপার লিংক যেখানে ক্লি করলে ঐ ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে চলে আসা হয়। যে ওয়েবসাইটে চলে আসা হল তার জন্য অন্য ওয়েবসাইটের বিদ্যমান হাইপার লিংককে ব্যাকলিংক বলে।

ব্যাকলিংকি বিষয়টি আরোও সহজে বলতে গেলে – অন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি লিংক যেখানে ক্লিক করলে আপনার ওয়েবসাইটে ফিরে আসা যায় তাই হল আপনার সাইটের জন্য ব্যাকলিংক।

অর্থাৎ, এর দ্বার বুঝা গেল, অপর কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটকে রেফার করা হল। যা কিনা এক অর্থে ভোটিং এর মত। যে সাইটের ব্যকলিংক নামের এই ভোট সংখ্যা যত বেশী হবে, গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসাবে তাকে তত বেশী গুরত্ব দিবে।

এখন যে ওয়েবসাইট আপনার সাইটকে রেফার করল তাকে আমরা অনেক সময় রেফারিং ডোমেইন বলে থাকি।  এই রেফারিং ডোমেইন আপনার সাইটকে রেফার করার কারণে এই লিংককে আবার ইনবাউন্ড লিংক নামেও ডাকা হয়।

তবে, একটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তা হল আপনি যে সাইটে ব্যাকলিং তৈরি করবেন তা দেন ভাল কোন আস্থাভাজন সাইট হয়। তা না হলে হীতে বিপরীত হয়ে যাবে।

আরোও দেখুন- ব্যাকলিংক কত প্রকার ও কি কি?

সাধারণ একটি প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে- সার্চ ইঞ্জিন এর নিকট ব্যাকলিংক কেন এত গুরত্বপুর্ণ?

খুব, ভাল একটি প্রশ্ন।

ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রথম দিকে প্রায় ২৫ বছর পূর্বে ১৯৯৮ সালে গুগল যখন প্রথম যাত্রা শুরু করে, তথন সার্চ ইঞ্জিন অনেকটা সহজ সরল প্রকৃতির ছিল। কোন ওয়েব কনটেন্ট এর শুধু কিওয়ার্ড ম্যাচিং করে র‌্যাংকিং এর কাজটি সেরে ফেলার চেষ্টা করত। এত কিছু ভাবতনা যে, কনটেন্ট কেমন বা ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ভাল আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

কিন্তু এর দ্বার নানা বিধ সমস্যা দেখা দিতে লাগল। তারপর আস্তে আস্তে ব্যাকলিংক সহ অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে ভাবার সুযোগ তৈরি হল। এই কারণে, কথাটি আমি আবারোও বলছি, আপনার ব্যাকলিংক যেন মান সম্পন্ন হয়।

মান সম্পন্ন ব্যাকলিংক সম্পর্র্কে অন্য একটি পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। কারণ, ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমান প্রতিযোগীতাপূর্ণ বাজারে গুগল র‌্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসাবে ব্যাকলিংক এর গুরত্ব অনস্বীকার্য।

ব্যাকলিংক কি এবং লিংক কি?

ওয়েব জগতের ডকুমেন্টগুলো পূথক পূথকভাবে যে পেজ –এ লিখিত থাকে তাকে আমরা ওয়েবপেজ বলি। আবার অনেকগুলি ওয়েবপেজ এর সমন্বয়ে একটি ওয়েবসাইট গঠি।

এর মধ্যে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- এই এক একটি ওয়েবপেজ অপটির সাথে যার মাধ্যমে যুক্ত থাকে তাকে লিংক বলে।

এবারে, ব্যাকলিংক কি তার সহজ উত্তর হবে – টার্গেট পেজটির ব্যাকলিংক হলো ভিন্ন ডোমেইন বা ওয়েবসাইটের মাঝে উপস্থিত কোন এক্সটারনাল লিংক।

বিষয়টি একটি উদাহারণের সাহয্যে আরোও পরিস্কার ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া যায়-

মনে করুন-

  • ঘটনা-১: পেজ –ক এর একটি লিংক আছে যা পেজ খ এর সাথে যুক্ত। এখানে পেজ দু’টি একই ওয়েবসাইটের অন্তর্গত।
  • ঘটনা-২: পেজ –খ এর আর একটি লিংক আছে যা অন্য ওয়েবসাইটের পেজ-গ এর সাথে যুক্ত।

এবার, আপনিই বলুন ব্যাকলিংক কি এর উত্তরে কোন ঘটনাটি শুদ্ধ। ঘটনা-১ নাকি ঘটনা-২?

আর একটি কথা না বললেই নয়, ধরুন একটি ওয়বপেজ টেক্সট ডকুমেন্ট নিয়ে গঠিত। সেই পেজটির টেক্সট এর দু’ জায়গায় দু’টি লিংক রয়েছে।

তাহলে বলুনতো – টেক্সট ডকুমেন্ট এর ফন্ট কালার এবং টেক্সট ডকুমেন্ট এর যে অংশে দু’টি লিংক রয়েছে তাদের ফন্ট কালার কি এক রকম হবে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উত্তর – না।

আর আপনি মাউস পয়েন্টার লিংক এর উপর রাখলে তা হাতের আঙ্গুলের আকার ধারণ করবে।

তাহলে আপনি কোন টেক্সট ডকুমেন্টের কোথায় লিংক রয়েছে তাও অতি সহজে খুঁজে পাচ্ছেন। তবে, টেক্সট ডকুমেন্টের বাইরেও কোন ওয়েবপেজ এর বিভিন্ন অংশে লিংক থাকতে পারে। সেখানে রঙের ভিন্নতা না পেলেও, আপনি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেখানে মাউস পয়েন্টার রাখবেন।

রাখার পর যদি তা হতের আকার ধারণ করে, তাহলে বুজতে আর অসুবিধা হবে না যে এটি একটি হাইপার লিংক বা লিংক।

আরোও দেখুন – ব্যাকলিংক এর গুরত্ত্ব কি?

স্বাভাবিক অর্থে ওয়েবপেজ এর বিদ্যমান যে সব লিংক থাকে তারা আবার দুই প্রকারের হয়। যথা-

  • ইন্টারনাল লিংক: এই লিংক এর টার্গেট পেজ ঐ ওয়েবসাইটের ভিতরকার অন্য কোন ওয়েব পেজ এর সাথে হয়।
  • এক্সটারনাল লিংক: এই ধরণের লিংক এর ক্ষেত্রে তার টার্গেট পেজ ভিন্ন ডোমেইনের অন্তর্গত কোন ওয়েব পেজ এর সাথে হয়।

এবার, আরেকটি বিষয় সামনে চলে এলো- তা হলো, টার্গেট পেজ আবার কি?

কোন ওয়েব পেজ এর বিদ্যমান লিংক এ ক্লিক করলে যে পেজ ওপেন হয় সেই ওপেন হওয়া পেজকেই টার্গেট পেজ বলে।

ব্যাকলিংক কি প্রসঙ্গে ইতোমধ্যে অনেক আলোচনা হয়ে গেল। বন্ধুগণ- আপনার যদি এই বিষয়ে আরোও কিছু জানার বা বলার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।

 

Leave a Comment