ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে? কিছু তথ্য!

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট আরোও কিছু বিষয়ের উপর আজকের পোষ্ট।

আজকের দুনিয়ায় ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও ব্যবহার বান্ধব হওয়ার কারণে আপনি কি জানেন যে, বিশ্বব্যাপী এখনোও মানুষের অনলাইন উপস্থিতি দিন দিন বেড়েই চলছে।

গবেষণা থেকে জানা যায়, বিগত তিন বছরে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যে কথাটি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ তা হলো মানুষ এখন আগের সেই প্রথাগত কেনা-কাটা থেকে বেড়িয়ে এসে অনলাইন শপিং এর দিকে ঝুঁকছে।

অফলাইন মার্কেটিং প্রভাব এখন আর আগের মত নেই। দিন দিন যেন তা নিষ্ক্রিয়তার পথেই হাটছে।

মার্কেটিং ধারণাই হলো আপনার অডিয়েন্সের সাথে সঠিক জায়গায় এবং সঠিক সময়ে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করে চলা। সেই অর্থে, আজকের দিনে তার মানে দাড়ায়, আপনাকে সেই জায়গায় তাদের সাথে সাক্ষাত করতে হবে যেখানে তারা সময় অতিবাহিত করছে – অর্থাৎ কিনা ইন্টারনেটের মাঝে।

এবারে আসি মুল কথা – যে কোন প্রকারের মার্কেটিং যা অনলাইন ভিত্তিক হয় তাই ডিজিটাল মার্কেটিং।

আজ আমি, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে – এই বিষয়ের উপর বেসিক কিছু ধারণা উপস্থাপনের চেষ্টা করব।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অপর নাম অনলাইন মার্কেটিং। এর মাধ্যমে মার্কেটিং যাবতীয় চেষ্টা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদন করা হয়। এই ধরণের মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইমেইল এবং ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন প্রকারের ডিজিটাল চেনেল ব্যবহার করা হয়। যার ফল স্বরুপ আপনি সম্ভাব্য কাস্টোমার বা টার্গেট অডিয়েন্সের নিকট আপনার ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবার গুনাগুন তুলে ধরতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা লাভের জন্য আমি মার্কেটিং এর সঙ্গা নিয়ে দু’ একটি কথা বলি। কারণ, মার্কেটিং সম্পর্কে যখান আপনার ধারণা পরিস্কার হবে তখন ডিজিটাল মার্কেটিং বুঝতে আর কষ্ট হবে না।

মার্কেটিং এর সঙ্গা হলো – এর দ্বার কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা কম্পানির ঐসব যাবতীয় কর্মকান্ড বুঝায় যার মাধ্যমে ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা কাস্টোমারের নিকট পৌঁছানো যায়।

অর্থাৎ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি তার উৎপাদিত পণ্য বা সেবা সম্পর্কে উচ্চ মানের বার্তা প্রদানের মাধ্যমে তার সম্ভাব্য কাস্টোমারকে আকৃষ্ট করার একটি প্রয়াস মাত্র।

মার্কেটিং এর সাথে চারটি বিষয় জড়িত – যেমন, পণ্য, মুল্য, জায়গা এবং প্রচারণা। এজন্য, মার্কেটিং কার্যক্রম শুরু হবে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে গবেষণা থেকে। এরপর, উৎপাদিত পণ্যের প্রোমোশন, বিক্রয় এবং সরবরাহ পর্যন্ত বিস্তৃত।

এখন, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে এর উত্তরে আপনি শুধু এর সাথে একটি বিষয় যোগ করে দিবেন। তা হচ্ছে মার্কেটিং এর এই কার্যক্রম হবে ইন্টারনেট বা অনলাইন চ্যানেলে। ব্যস, এতটুকুই।

সাধারণ বা প্রথাগত মার্কেটিং এর মত এটিও অনুরুপ একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পোটেনশিয়াল বা সম্ভাব্য কাস্টোমারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদেরকে প্রভাবান্বিত করা হয়। তবে, পার্থক্য হলো, এক্ষেত্রে আপনাকে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদির সাহায্যে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হবে।

আপনার পণ্য বা সেবার উপর বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট, সোশাল মিডিয়া পোষ্ট, টেক্সট কনটেন্ট, ব্লগ পোষ্ট এবং অনলাইন চ্যানেলের আরোও কিছু প্রচলিত বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যার মাধ্যমে টার্গেট অডিয়েন্স এর কাছে উক্ত পণ্য বা সেবার গুনাগুন প্রচার করা যায়।

প্রথাগত মার্কেটিং এর কৌশল যা ইতোপূর্ব থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার উদাহারণ যেমন, বিলবোর্ড, লিফলেট, পোষ্টার, টেলিভিশন এডস এবং অন্যান্য প্রোমোশনাল মেটেরিয়ালস। এসবের উদ্দেশ্যও সেই একই, তা হলো, সম্ভাব্য কাস্টোমারের নিকট আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বার্তা পৌঁছানো।

কিন্তু প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় তা আর এখন আগের মত কাজ করছে না। কারণ, প্রশ্ন হলো, আপনার অডিয়েন্স বর্তমানে যেখানে বেশী সময় কাটাচ্ছে, মার্কেটিং এর কনসেপ্ট মোতাবেক তা বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যথায়, আপনি তাদের সাথে সফলভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে ব্যর্থ হবেন। আর, আপনি টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে না পারলে বর্তমান প্রতিযোগী বিশ্বে তার সঠিক সময়ে আপনার ব্যবসায়িক পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানতে পাবে না।

প্রথাগত মার্কেটিং এর বাস্তব চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, উন্নত বিশ্বে এর প্রভাব ক্রমেই ফুরিয়ে যাচ্ছে। মৃতপ্রায় বলা যায়। কারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিন দিন আপডেট হচ্ছে। আপনি প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে চাইলে নিজেকেও সেই অনুযায়ী হালনাগাদ করে নিতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে: উদাহারণ

এই ধরণের মার্কেটিং আপনার সম্ভাব্য কাস্টোমারের একটি সুনির্দিষ্ট অংশকে কাভার করবে। যা কিন ইন্টারএকটিভ হতে পারে। যেমন, আপনি যখন গুগলে কোন কিছু অনুসন্ধান করেন, তখন সার্চ রেজাল্ট পেজ এর সবার উপরে কয়েকটি এডস দেখেতে পাবেন। আবার, একই ভাবে, সোশাল মিডিয়া যেমন, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদির বেলায়েও আপনি নিশ্চয়ই এই জাতীয় বিজ্ঞাপন লক্ষ করে থাকবেন।

তো, বন্ধুগন, ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে – শীর্ষক অদ্যকার পোষ্টের উপস্থাপিত তথ্যগুলি কেমন লাগল জানাবেন। এই আলোচনার তথ্যসমূহ আরোও অধিক সমৃদ্ধ করার জন্য যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment