ব্লগ পোষ্টে কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম কি?

কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম মানে আপনি ব্লগ পোষ্টে কিওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করবেন – বিষয়টি সহজ শুনালেও আসলে কিন্তু ততটা সহজ নয়।

গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ধারাবাহিকভাবে তাদের প্রযুক্তি আপডেট করে চলছে। প্রথম দিকে অনেকটা সহজ থাকলেও এখন দিন দিন তা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

কারণ, প্রতিদিন বহু সংখ্যক নতুন ব্লগ ও ওয়েবসাইট অনলাইন জগতে আত্মপ্রকাশ করছে। এর ফলে ‍সার্চ ইঞ্চিনে প্রতিটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ মালিক তার সাইটের কনটেন্ট র‌্যাংক করানোর জন্য এক অসম প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়েছে।

র‌্যাংকিং বিষয়টিতে ধীরে ধীরে প্রতিযোগীতা বাড়তে থাকায় এখন তা অনেক বেশী প্রতিযোগীতা পূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।

তবে, কিওয়ার্ড কিভাবে ব্যবহার করা হয় তা বুঝতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার এবং কিওয়ার্ড এর গুরত্ব কি?

এসবের উপর আলাদাভাবে এক এক পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উপরের লিংকে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন।

মুল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমি বেসিক একটি ধারণা ব্যক্ত করতে চাই – তা হল আপনার টেক্সট কনটেন্ট কিওয়ার্ড কেন বসাতে হয়।

এর উত্তর হলো – কিওয়ার্ড এসইও কাজের মুল ভিত্তি। অনপেজ এসইও এর অংশ হিসাবে যে কোন আর্টকেল বা ব্লগ পোষ্টে যথাযথ ভাবে কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট অপরিহার্য।

না হলে, গুগলের সেরা ১০০ অবস্থানে আপনার কনটেন্ট প্রতিযোগীতায় স্থান পাবে না। ফলে, গুগল থেকে অরগানিক ভাবে আপনার সাইটে কোন ট্রাফিক আসার সুযোগ থাকবে না।

যাহোক, আলোচ্য পোষ্টে আমি আপনার লিখিত কনটেন্ট এ কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম সম্পর্ক আলোচনা করব।

চলুন শুরু করা যাক।

ব্লগ পোষ্টে কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম

আপনার কনটেন্টের বা ব্লগ পোষ্টের মাঝে কোনভাবে কিওয়ার্ড ছেড়ে দিলেই যে হয়ে গেল তা কিন্তু মোটেও নয়।

ভাল মানের কনটেন্ট তো লিখতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কেননা প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, content is king.

আপনি যদি সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভাল একটি কনটেন্ট রচনা করতে পারেন, তাহলে বাস্তবিক অর্থে তা থেকে মানুষকে উপকৃত হবে। ব্যাপারটি এমন নয় যে, আপনার রবট বন্ধু গুগলকে শুধু জানিয়ে দিলেও হয়ে গেল।

আপনার সাইটের প্রতিটি পেজ এ যে কনটেন্ট রয়েছে সেখানে একটি ইউনিক কিওয়ার্ড থাকতে হবে। যাকে অনেক ক্ষেত্রে ফোকাস কিওয়ার্ডও বলা হয়ে থাকে। এর উপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিনের ক্রাউলার বা বটস এবং মানুষ দৃষ্টি দিয়ে দেখে যে আপনার তৈরিকৃত কনটেন্ট কোন বিষয়ের উপর।

কনটেন্টের ভিতর কিওয়ার্ড বসানোর কিছু মুলনীতি থাকে। যা নিচে উল্লেখ করা হলো-

  • প্রথমত: আপনি যে কনটেন্ট লিখেছেন তার পেজ ইউআরএল এর ভিতর ফোকাস বা প্রাইমারি কিওয়ার্ড দিতে হয়।
  • আপনার কনটেন্টের পেজ টাইটেল এ বসাতে হয়।
  • আপনার কনটেন্ট পেজ এর টাইটেল ট্যাগ এ দিতে হয়।
  • মেটা ডেস্ক্রিপশন ট্যাগ এ কিওয়ার্ডটি বসাতে হয়।
  • আপনার কনটেন্ট এ যে ইমেজ ব্যবহার করেছেন তার অল্ট ট্যাগে ফোকস কিওয়ার্ড দিতে হয়।

এই হলো, কনটেন্ট এর বডির বাইরে অংশসমূহ যেখানে এসইও উত্তম চর্চা অনুযায়ী কিওয়ার্ড বসাতে হবে।

এবারে, হচ্ছে কনটেন্ট এর বডি অংশে কিওয়ার্ড বসানোর পালা।

এতে প্রথম দিকে এমন একটি প্রবনতা কাজ করত যে, যত কিওয়ার্ড বসানো যায় ততোই ভাল। অর্থাত, র‌্যাংকিং এর জন্য ভাল। তা কিন্তু আদৌ সঠিক নয়।

সার্চ ইঞ্জিন রবট অনেক স্মার্ট। সে আপনার কনটেন্ট স্প্যাম হিসাবে মার্ক করে রাখবে। এতে একটি সময় পর যাও একটু র‌্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাও বাদ হয়ে যাবে।

অতিরিক্ত সংখ্যায় কিওয়ার্ড বসানোকে কিওয়ার্ড স্টাফিং বলে। যা আপনার জন্য নেগেটিভ বার্তা বহন করবে।

আপনার কনটেন্টের বডির শব্দ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে কিওয়ার্ড বসানোর হার কোনভাবেই যেন ২% এর অধিক না হয়। এটি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

আর কনটেন্ট এর ভিতর কিওয়ার্ড যে বসাবেন সেই বসানোটা যেন প্রাসঙ্গিক বা ন্যাচারাল হয়। এমন যেন না হয় যে কিওয়ার্ড বসানোর জন্য বসাতে হয়েছে। তাহলে, আপনার অডিয়েন্স এর নিকট মান সম্পন্ন লেখা হিসাবে বিবেচিত হবে না। অর্থাৎ, সার্চার ইনটেন্ট নিবারণ হবে না।

পরিশেষে আর একটি কথা বলছি – ব্লগ পোষ্টে কিওয়ার্ড বসানোর নিয়ম সম্পর্কে এই পোষ্টে যে প্রক্রিয়াটি উল্লেখ করা হলো তা কিন্তু অন পেজ এসইও কাজেরই অংশ।

এই পদ্ধতি অনুযায়ি কনটেন্ট তৈরির পর উল্লেখিত জায়গা সমূহে যদি আপনি আপনার নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি বসাতে পারেন, তাহলে তা গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে আপনার কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু কি সেটি চিহ্নিত হয়। এবং সেই অনুযায়ি এই কিওয়ার্ড লিখে কেউ গুগল এ সার্চ করলে গুগল তখন আপনার কনটেন্টটিকে র‌্যাংকিং এর জন্য বিবেচনা করে।

বন্ধুগন, পোষ্টটিতে যে সব তথ্য তুলে ধরা হলো তার উপর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকবেন।

Leave a Comment