কিওয়ার্ড কি – শুনতে সহজ মনে হলেও এসইও জগতে এর গুরত্ব অপরিসীম। আপনি যদি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন এবং একই সাথে আপনার লেখা কনটেন্টকে যদি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করাতে চান – তাহলে এসইও কিওয়ার্ড গভীরভাবে জানা ও বুঝা আপনার জন্য অত্যাবশ্যক।
আজ আমরা এমন এক জগতে বসবাস করছি যেখানে অনলাইন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ল্যাপটব এবং স্মার্টফোন ইত্যাদি বিষয়গুলি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশরুপে স্থান করে নিয়েছে।
আপনার জীবনের নিত্য প্রোয়জনীয় যে কোন বিষয় থেকে শুরু করে অনেক জিনিসই সামনে এলে প্রাথমিক খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য সবার আগে যে জিনিসটি ব্যবহার করেন তা হলো স্মার্টফোন ও সাথে ইন্টারনেট।
কেনাকাটা বলুন বা দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বলুন কোন কিছুই এটি থেকে বাদ পড়েনি। এক কথায় বলতে গেলে, আমরা বাস করছি এক ভার্চুয়াল জগতে। যেখানে জীবনের প্রত্যেক বিষয়ের উপরই আপনার কাংখিত তথ্য খুঁজে পাবেন।
আর, অনলাইন তথ্য ভান্ডার থেকে আপনার কাংখিত তথ্য খুঁজে পেতে যে বিষয়টি সবার আগে দরকার হয়, তা হলো কিওয়ার্ড।
তাই, আলোচ্য পোষ্টে কিওয়ার্ড কি বা কাকে বলে– এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
চলুন – শুরু করি।
কিওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড হচ্ছে এক বা একাধিক শব্দগুচ্ছ যার উপর ভিত্তি করে কোন ওয়েব পেজ বা ব্লগ পোষ্টের কনটেন্ট রচনা করা হয়। তবে, জেনে রাখা ভাল – কিওয়ার্ড কয়েক প্রকার হতে পারে।
আরেকভাবে যদি বলি – এটি হলো এমন শব্দ বা শব্দ সমষ্টি যা সার্চ ইঞ্চিনের qery box –এ লিখে সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট খুজে পেতে ব্যবহৃত হয়ে।
কাজেই, লোকেরা যখন এমন কোন শব্দ লিখে গুগলে সার্চ করে যাকে আমরা কিওয়ার্ড বলছি এবং আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে যদি সেই কিওয়ার্ড সম্পর্কিত কোন লেখা বা কনটেন্ট থেকে থাকে – তাহলে আপনার প্রত্যাশা কি?
এক কথায় এর উত্তর হচ্ছে – গুগল যেন তার সার্চ রেজাল্ট পেজ এর প্রথম দিকে অর্থাৎ কিনা প্রথম দশটি ফলাফলে মধ্যে আপনার সাইটের কনটেন্ট প্রদর্শন করে।
কাজেই, বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কিওয়ার্ড আসলে কতটা গুরত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ড কি – জানার পর এটি কেন এত গুরত্বপূর্ণ তাও আপনাকে জানতে হবে।
এজন্য, কিওয়ার্ডের গুরত্ব সম্পর্কে পৃথক একটি পোষ্টে আমি আলোচনা করেছি। পোষ্টটি পড়ে নিতে পারেন।
এবারে, আরোও পরিস্কার হওয়ার জন্য, চলুন জেনে নেই – সার্চ ইঞ্চিন রেজাল্ট পেজ কাকে বলে এবং এই রেজাল্ট পেজ এর প্রথম দশটিতে স্থান পাওয়া কেন গুরত্বপূর্ণ?
কিওয়ার্ড কি: সার্চ ইঞ্চিন রেজাল্ট পেজ
সার্চ ইঞ্চিন রেজাল্ট পেজ: ধরুন, আমার একটি পোষা বিড়াল আছে। আমি বিড়ালটির জন্য ভাল খাবার ক্রয় করতে চাই। এজন্য, মার্কেটে যাওয়ার আগে অনলাইন থেকে তথ্য নিব।
তাই, গুগলে গিয়ে সার্চ বক্সে “cat food” লিখে সার্চ দিলাম। নিমিষের মধ্যেই cat food বিষয়ের উপর কয়েক লক্ষ সার্চ রেজাল্ট চলে এলো।
নিচের চিত্রটির দিকে লক্ষ করুন, যেখানে আমি ঐ কিওয়ার্ড লিখে সার্চ দিয়েছি এবং পরিস্কারভাবে বোঝার জন্য এই কিওয়ার্ডের বিপরীতে তার ফলাফলগুলো মার্ক করেছে –
এবারে আসি, সার্চ রেজাল্ট পেজ এর প্রথম দশটির মাঝে স্থান পাওয়া – প্রসঙ্গে।
ধরে নেই, আপনি একজন ওয়েব কনটেন্ট পাবলিশার। আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাই বা ব্লগ আছে যেখানে আপনি cat food সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লিখে পোষ্ট করেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, যে কেউ cat food সম্পর্কে তথ্য পেতে যখন গুগলে সার্চ করে, সে সার্চ রেজাল্ট পেজ এর কয়টি পেজ ভ্রমন করে? সাধারণত: দেখা যায়, প্রতিটি সার্চ রেজাল্ট পেজ – এ কমবেশী দশটি করে ফলাফল থাকে।
এর উত্তরে – বাস্তব পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বেশীরভাগ ইউজার সার্চ রেজাল্ট এর প্রথম পেজ এর যে দশটি ফলাফল রয়েছে সেখানেই এক এক করে প্রবেশ করে তার কাংখিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করে।
খুব কম লোকই পাওয়া যাবে যারা কিনা গুগল এর প্রথম পেজ এর ফলাফল গুলিতে প্রবেশের পর দ্বিতীয় পেজ এর পরবর্তী দশটি ফলাফল দেখতে সময় ক্ষেপন করে।
তাহলে, বোঝা গেল- আপনি যদি cat food বিষয়ে কনটেন্ট লিখার পর তা যদি গুগলের প্রথম পেজ-এ স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে আপনার লেখা কনটেন্ট ইউজার এর দৃষ্টিগোচর হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষিণ হয়ে যায়।
এই কারণে, ইন্টারনেটে একজন ব্লগার এর জন্য তার কোন কনটেন্ট সার্চ রেজাল্ট পেজ এর প্রথম দশটিতে স্থান পাওয়া এত বেশী গুরত্বপূর্ণ। কারণ, আপনি এক একটি কনটেন্ট অনেক কষ্ট করে গবেষণা পূর্বক লিখেই যাচ্ছেন। কিন্তু অনলাইনের কোন পাঠকের নিকট তা দৃষ্টিগোচর হচ্ছেনা। বিষয়টি সত্যিকার অর্থেই খুব বেদনাদায়ক।
এবারে, চলুন উপরের চিত্রটি আরেক বার দেখে নেই। তাতে দেখা যাচ্ছে যে, cat food নামের কিওয়ার্ডের ক্ষেত্রে গুগল –এ সর্বমোট ৫৩৮ কোটি ফলাফল প্রদর্শিত হয়েছে। তার মানে হচ্ছে, cat food এর উপর টোটাল ৫৩৮ কোটি অনলাইন কনটেন্ট বিদ্যমান যা গুগল এর সার্চ ডাটাবেজ-এ সংরক্ষিত।
আরোও দেখুন, সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?
কনটেন্ট বলতে শুধুই টেক্সট কনটেন্টই নয়। এর বাইরে অনেক ভিডিও কনটেন্টও রয়েছে যা এর ফলাফলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।
এখন, সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই কোটি কোটি ফলাফলে মধ্যে গুগলের শুধু গুগল এর প্রথম পেজ এ যে দশটি কনটেন্ট প্রদর্শিত হয় সেখানেই ৯৫% এরও অধিক ভিজিটর প্রবেশ করে।
প্রশ্ন হলো, এই বিশাল অংকের ফলাফলের মাঝে প্রথম দশটি রেজাল্টের মাঝে আপনার লেখা কনটেন্ট কিভাবে স্থান পাবে? খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন ও অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যা একজন ওয়েব পাবলিশার বা ব্লগার হিসাবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে ও বুঝতে হবে।
এর উত্তর পেতে দেখুন কিওয়ার্ড গোল্ডেন রেশিও। যা অনুসরণ করে একজন নতুন ব্লগার হিসাবে আপনি আপনার ব্লগের যে কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট খুব সহজে কম সময়ের মাঝে র্যাংক করাতে পারেন।
তাহলে, বন্ধগণ, কিওয়ার্ড কি – বিষয়টির উপর পরিস্কার একটি ধারণা পেয়েছেন। তবে, কিওয়ার্ড কয়েক প্রকারের হতে পারে। কিওয়ার্ডের প্রকারভেদ সম্পর্কে অন্য একটি পোষ্টে আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে। লিংক এ প্রবেশ করে দেখে নিতে পারেন।