কিওয়ার্ড কত প্রকার হতে পারে – বিষয়টি আপনার জন্য জানা খুবই প্রয়োজন যদি আপনি একজন ইন্টারনেট মার্কেটার বা ব্লগার হয়ে থাকেন। কারণ, আপনি যদি এসইও কাজে সফল হতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম যে জিনিসটির প্রয়োজন হবে তা হলো এই কিওয়ার্ড।
অরগানিক ভিজিটরের নিকট আপনার কনটেন্ট পৌঁছে দিতে এসইও কাজের বিকল্প নেই। এই কিওয়ার্ড সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা নেওয়া এবং তদানুযায়ি কাজ করা হতে পারে আপনার সফলতার প্রথম সিড়ি।
প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অনলাইন কনটেন্ট তৈরির উদ্দেশ্যই থাকে তা যেন ইন্টারনেট ইউজার এর নিকট দৃশ্যমান হয়। তা না হলে, পরিশ্রমই বৃথা। কারণ, আপনি একের পর এক কনটেন্ট লিখেই যাবেন, কিন্তু তা অনলাইন পাঠকের নিকট দৃষ্টিগোচর হবেন।
মানে হলো, আপনার কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কিত কিওয়ার্ড লিখে কোন ইউজার গুগল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করলে আপনার সাইটের কনটেন্ট পেজটি সার্চ ইঞ্চিনের প্রথম দিকে অবস্থান নিতে পারবেনা। আর গুগলের প্রথম পেজ –এ আপনার কনটেন্ট প্রদর্শিত না হলে তা ইউজার এর নজরে আসবে না।
এজন্য কনটেন্ট তৈরির পর সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজ -এ র্যাংক করাতে হলে যে জিনিসটির প্রয়োজন তা হলো যথাযথভাবে এসইও কাজ সম্পন্ন করা।
তবে, কনটেন্ট তৈরির সময় আপনাকে অনপেজ এসইও কাজ করতে হবে। আর, আপনার কনটেন্টটি পাবলিশ হয়ে গেলে তারপর অফপেজ এসইও করতে হবে।
আরোও দেখুন – এসইও কি, এটি কেন এত গুরত্বপূর্ণ?
এখন এতটুকু মনে রাখলেই হবে যে, অনপেজ এসইও কনটেন্ট তৈরির সময় বা কনটেন্ট পাবলিশ করার পূর্বে করতে হয়।
আর অনপেজ এসইও এর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে বিষয়টির প্রয়োজন হয় তা হচ্ছে কিওয়ার্ড নির্বাচন করা এবং এই নির্বাচিত কিওয়ার্ডের উপর কনটেন্ট রচনা করা।
এজন্যই, কিওয়ার্ড সম্পর্কে স্বচ্ছ একটি ধারণা নেওয়া প্রত্যেক ব্লগার বা ইন্টারনেট মার্কেটারের জন্য এতটা বেশী জরুরী।
কিওয়ার্ড মুলত: আপনি যে বিষয়ের উপর কনটেন্ট লিখবেন সেই বিষয়ের এক বা একাধিক শব্দগুচ্ছ যা আপনার কনটেন্ট এর টপিক নির্ধারণে সার্চ ইঞ্জিনকে বার্তা প্রদান করে।
আরোও সহজে যদি বলি, কোন ইউজার অনলাইন তথ্য ভান্ডার থেকে তার কাংখিত তথ্য খুঁজে পেতে গুগলের সার্চ বক্সে যে কথাগুলি লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করে, তাই হলো কিওয়ার্ড।
আপনি যদি কিওয়ার্ড বিষয়ে আরোও বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এর উপর আলাদাভাবে আমার একটি পোষ্ট রয়েছে – সেটি দেখে আসতে পারেন।
আজকের পোষ্টের আলোচ্য বিষয় হলো কিওয়ার্ড কত প্রকার, কি কি।
তাহলে, চলুন – মুল আলোচনায় চলে যাই।
Table of Contents
কিওয়ার্ড কত প্রকার, কি কি?
সর্ট টেইল কিওয়ার্ড
এর নামই বলে দেয় যে, এই ধরণের কিওয়ার্ড হবে সংক্ষিপ্ত কিওয়ার্ড যেখানে দু’টি বা সর্বোচ্চ তিনটি শব্দ থাকতে পারবে। কখনোও কখনোও এদের হেড কিওয়ার্ড বা সীড কিওয়ার্ড বা অনেক সময় ব্রড কিওয়ার্ড নামেও ডাকা হয়।
মনে রাখার বিষয় হলো, এই প্রকারের কিওয়ার্ডের মাসিক সার্চ ভলিউমের সংখ্যা প্রচুর হতে পারে। তাই, সর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে রচিত কোন কনটেন্ট একজন নতুন ব্লগারের পক্ষে খুব বেশী প্রতিযোগীতাপূর্ন। একেবারে অসম্ভব বললেও মনে হয় ভুল হবে না।
অডিয়েন্স এর দৃষ্টিকোন থেকে বলা যায়, তারা যখন কোন বিষয়ের উপর সর্বপ্রথম একটি প্রাথমিক ধারণা লাভের জন্য সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে, ঠিক তখনই তারা এই ধরণের কিওয়ার্ড ব্যবহার করে।
এজন্য, অডিয়েন্সের তথ্য অনুসন্ধানের প্রকৃত উদ্দেশ্য এই ক্ষেত্রে বোঝা যায় না।
যেমন ধরুন, কেউ “lemon” লিখে সার্চ দিল। যেহেতু এটি এক শব্দ বিশিষ্ট কিওয়ার্ড, তাই নি:সন্দেহে এটি হচ্ছে সর্ট টেইল কিওয়ার্ড।
এবার, আপনিই বলুন এই ধরণের ব্রড ক্যাটাগরির কিওয়ার্ড ব্যবহার করে তিনি কি পেতে চাচ্ছেন। তার আসল আগ্রহ বা সার্চের উদ্দেশ্য lemon এর ঠিক কোন জায়গাটায়?
হতে পারে, তিনি lemon –এ কি কি ভিটামিন থাকে বা এতে ক্যালরির পরিমান কত বা কোথায় ভাল lemon পাওয়া যায়; এর কোন কোন তথ্য পেতে তিনি গুগলে সার্চের কাজে শুধুমাত্র lemon শব্দটি প্রয়োগ করলেন।
সর্ট টেইল কিওয়ার্ডের বেলায় অনুসন্ধানকারীর প্রকৃত উদ্দেশ্য অজানা থাকার কারণে এটি দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজ থেকে কোন সাইটে প্রবেশ করলে তার কনভার্শনের হার ভাল হয় না।
লং টেইল কিওয়ার্ড
কিওয়ার্ড কত প্রকার শীর্ষক আলোচনার এ পর্যায়ে আমরা লং টেইল কিওয়ার্ড নিয়ে কথা বলব।
এই ধরণের কিওয়ার্ড তিন বা ততোধিক শব্দ নিয়ে গঠিত হয়। এরা সর্ট টেইল কিওয়ার্ডের তুলনায় অনেক বেশী স্পেসিফিক বা সুনির্দিষ্ট হয়।
লং টেইল কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম তুলনামুলক কম হয়। কিন্তু এই কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার কনটেন্ট র্যাংক করানো সহজতর হয়। সর্ট টেইল কিওয়ার্ডের মত এত বেশী প্রতিযোগীতা থাকেনা।
এই ধরণের কিওয়ার্ডের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ দিক হলো – অডিয়েন্স যখন সার্চ ইঞ্জিনে এই প্রকার কিওয়ার্ড ব্যবহার করে; তখন সার্চ ইঞ্জিন তার রেজাল্ট পেজ-এ অনেক বেশী সুনির্দিষ্ট ফলাফল প্রদর্শন করে। ফলে অনুসন্ধানকারি তার কাংখিত তথ্য পেয়ে যায়।
এভাবে, অডিয়েন্সের সার্চ ইনটেন্ট পূরণ হয়। ফলে, কনভার্শন রেট বেশী হয়।
উদাহারণ স্বরুপ – “best xiaomi mobile phone”. এই কিওয়ার্ড দিয়ে কেউ গুগলে সার্চ করলে তার উদ্দেশ্য সহজেই বুঝা যায়। আর তা হলো, সে এমন কোন ওয়েবসাইট বা ইকমার্স সাইটের সন্ধান পেতে চাচ্ছে যারা স্যামসাং ব্র্যান্ডের সবচেয়ে ভাল মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাই, সে অনলাইনে এর উপর তথ্য সংগ্রহ করছে।
এই দীর্ঘ কিওয়ার্ড সাধারণত: তারাই ব্যবহার করে যারা অনলাইনে পণ্যটি ক্রয় করতে চায়। আরোও সুনির্দিষ্ট লং টেইল কিওয়ার্ডের উদাহারণ হতে পারে – এই স্যামসাং ব্র্যান্ডের মোবাইলের মডেল উল্লেখ করে সার্চ করা। যেমন, “price of Samsung galaxy S22”.
আশা করি এই উদাহারণ থেকে অনেকটাই বুঝতে পেরেছেন।
কিওয়ার্ড কত প্রকার, কি কি – এর আলোচনায় ইতোমধ্যে যে দুই ধরণের কিওয়ার্ডের কথা উল্লেখ করা হলো – এরাই সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয়।
নিচে আরোও কয়েক ধরণের কিওয়ার্ডের নাম বলা হচ্ছে যা এদের মত এত বেশী জনপ্রীয় বা পরিচিত নয়।
কিওয়ার্ড কত প্রকার: LSI কিওয়ার্ড
এল এস আই দ্বার বুঝায় – লেটেন্ট সিমেনটিক ইনডেক্সিং। এরা ধারণগত কোন কিওয়ার্ড যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কোন ওয়েব কনটেন্ট খানিকটা গভীর পর্যায়ে বুঝার চেষ্টা করে।
মিড টেইল কিওয়ার্ড
সর্ট টার্ম ফ্রেস কিওয়ার্ড
লং টেইল এভার গ্রীন কিওয়ার্ড
বন্ধুগন- কিওয়ার্ড কত প্রকার ও কি কি হতে পারে শীর্ষক অদ্যকার পোষ্টের প্রদত্ত তথ্যের উপর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবে। ধন্যবাদ- সময় নিয়ে পড়ার জন্য।